[Latest News][6]

অর্থনীতি
আন্তর্জাতিক
খেলাধুলা
চাকরী
জীবনযাপন
প্রবাসের খবর
বাংলাদেশ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিনোদন
শিক্ষা

 

ঈদের পরেই বাড়ছে গ্যাসের দাম

ঈদের ছুটি শেষেই গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা আসতে পারে। এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল। অন্যদিকে এখন গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সময় নয় বলে জানিয়েছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। জনজীবন যখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জর্জরিত, সে সময় জ্বালানি তেল, গ্যাস অথবা বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি আগুনে ঘি ঢালা হবে বলে মনে করছে ক্যাব। ক্যাবের হিসাব মতে এক শতাংশ মূল্য বৃদ্ধিরও প্রয়োজন নেই। বরং গ্যাসের দাম কমানোর সুযোগ রয়েছে। বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জানিয়েছেন, গণশুনানি হয়েছে। এরপর পোস্ট শুনানির পরে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল হয়েছে। এখন কমিশন সিদ্ধান্ত নিবে। ঈদের আগে আর হচ্ছে না

রমজানে আদেশ দেয়াও সমীচীন নয়। ঈদের পরেই সিদ্ধান্তগুলো আসবে। গ্যাসের দাম কি বাড়ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের দিকে তাকান। তবে অতিমাত্রায় বাড়বে না। যেটা না হলেই নয়। ন্যূনতম পর্যায়ে থাকবে বলেও বিইআরসি’র চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন। বিইআরসির সূত্র জানিয়েছে, ঈদের আগেই গ্যাসের দাম বাড়াতে অব্যাহত চাপ দিয়ে যাচ্ছে অর্থ বিভাগ। উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে বলা হয় একদিন আগে দিতে পারলে সরকারের লোকসান কম হয়। বিইআরসির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১৮ই মে বিদ্যুতের পাইকারি দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের উপর গণশুনানির তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। বিদ্যুতের দামের সঙ্গে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ইস্যুটি জড়িত। তাই ১৮ তারিখের আগেই গ্যাসের দর ঘোষণা করতে চায় বিইআরসি। তবে ঈদের পরে ঘোষণা দিলেও কার্যকর হয়তো ১লা মে থেকেই করা হতে পারে। অতীতেও এমন নজির রয়েছে, মাসের মধ্যভাগে ঘোষণা দিয়ে পেছন থেকে কার্যকর করার। কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, বিতরণ কোম্পানিগুলো প্রত্যেকটিই মুনাফায় রয়েছে। বর্তমান অবস্থায় জনগণের বাড়তি দাম দেয়ার সামর্থ নেই। আর কোম্পানিগুলো দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা হিসেব করে দেখিয়ে দিয়েছি গ্যাসের দাম ১৬ পয়সা কমানো যায়। ২৭শে এপ্রিল এক অনুষ্ঠানে ক্যাব-এর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্ট অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, বিগত ২১-২৪শে মার্চ ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবসমূহের ওপর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কর্তৃক আয়োজিত গণশুনানি হলো। তাতে ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্যহার পেট্রোবাংলা ভারিত গড়ে ১১৭ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। বিইআরসি’র কারিগরি কমিটি ২০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। ক্যাব ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ (প্রতি ঘনমিটারে ০.১৭ টাকা) কমানোর প্রস্তাব করেছে এবং সকল শ্রেণির ভোক্তাদের জন্য বিদ্যমান মূল্যহার ৯ দশমিক ৬৯ টাকা বহাল রাখতে বলেছে। তবে গ্যাস তছরুপ প্রতিরোধে মাসিক ৭৭ ঘনমিটারের পরিবর্তে ৪০ ঘনমিটার ব্যবহার ধরে মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকদের চুলাপ্রতি গ্যাসের মূল্যহার কমানোর এবং কস্ট প্লাস-এর পরিবর্তে আগামী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত জিটিসিএল-এর সঞ্চালন চার্জ ও তিতাসের বিতরণ চার্জ মুনাফা ব্যতীত শুধুমাত্র কস্ট-এর ভিত্তিতে নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে ক্যাব। ‘পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে এসওসি’র (দেশি কোম্পানি) গ্যাস ক্রয় মূল্যহার ৬০ শতাংশ এর অধিক এবং লাইসেন্সিগণের প্রস্তাবে সঞ্চালন ও বিতরণ চার্জহার যথাক্রমে ১২৯ শতাংশ ও ১২০-৪০০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়। গণশুনানিতে পেট্রোবাংলাসহ কোনো লাইসেন্সিই তাদের কোনো প্রস্তাব ন্যায্য ও যৌক্তিক বলে প্রমাণ করতে পারেনি। ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্যহার ২০ শতাংশ বৃদ্ধির ব্যাপারে কারিগরি কমিটির প্রস্তাবও ন্যায্য ও যৌক্তিক বলে প্রমাণ হয়নি। এরপরও ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির আদেশ হবে। বিইআরসি’তে সেই প্রস্তুতি চলছে। ভোক্তারা আশঙ্কা করে, বরাবরের মতো মূল্যবৃদ্ধির আদেশে গণশুনানি ‘প্রহসনে’ পরিণত হবে।’ তিনি বলেন, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের পণ্য আমদানিতে ১,১৯,৩৮,৪৮৫ ডলার পরিমাণ অর্থের কাস্টমস সার্টিফাইড বিল অব এন্ট্রি জমা হয়নি বিধায় ওই পরিমাণ অর্থ রি-গ্যাসিফিকেশন চার্জহার নির্ধারণে সমন্বয় না করা এবং শেয়ার হোল্ডারদের বিনিয়োগের ওপর ১৮ শতাংশ সুদ প্রদানের পরিবর্তে অন্যান্য ক্ষেত্রের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে ৭ শতাংশ এর বেশি সুদ গ্যাসের মূল্যহারে সমন্বয় না করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২১ সালে এলএনজি রি-গ্যাসিফিকেশন এবং পেট্রোবাংলার এলএনজি অপারেশনাল চার্জহার ছিল যথাক্রমে ১.২৭ টাকা ও ০.১৬ টাকা। কারিগরি কমিটি প্রস্তাব করে যথাক্রমে ২.১৭ ও ০.২৯ টাকা। উভয় ক্ষেত্রেই চার্জবৃদ্ধির এমন অসামঞ্জস্য প্রস্তাব ন্যায্য ও যৌক্তিক নয় বিধায় তাতে ক্যাবের আপত্তি রয়েছে। এই আপত্তি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমানচার্জহার বলবৎ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এসময় জ্বালানি অধিকার সুরক্ষায় অসাধু ব্যবসা প্রতিরোধের লক্ষ্যে ক্যাবের ২৫ দফা গ্যাস খাত সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি। সাংবাদিকতের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি রোধে যদি আমরা প্রশাসনিক সমাধান না পাই তাহলে আদালতের মাধ্যমে সমাধান চাইবো। ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, এখন গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সময় নয়। জনজীবন যখন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে জড়জড়িত, সে সময় জ্বালানি তেল, গ্যাস অথবা বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি আগুনে ঘি ঢালা হবে। তিনি বলেন, সরকার যদি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করতে না চায় তাহলে সরকারের যে সংস্থাগুলো গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য বিইআরসিতে প্রস্তাব দিয়েছে তা যদি আলোচনা না করে, যৌক্তিকতা বিচার না করেই একটি আদেশ দিয়ে দেয় তাহলে সেটি জনগণের কাজে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সরকারের ভাবমুর্তি খুন্ন হবে। তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়িয়ে জনগণের উপর বোঝা চাপিয়ে দিয়ে সবাই লাভবান হতে যাচ্ছে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থ্যা প্রস্তাব করেছে। তবে ক্যাবের হিসাব মতে এক শতাংশ মূল্য বৃদ্ধিরও প্রয়োজন নেই। বরং দাম কমানোর সুযোগ রয়েছে।

About Author Sokol Khobor 'eNewspaper

when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries.

No comments:

Post a Comment

Start typing and press Enter to search