[Latest News][6]

অর্থনীতি
আন্তর্জাতিক
খেলাধুলা
চাকরী
জীবনযাপন
প্রবাসের খবর
বাংলাদেশ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিনোদন
শিক্ষা

 

ইনস্টাগ্রামের বিরুদ্ধে অবৈধ তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ

 ইনস্টাগ্রামের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর বায়োমেট্রিক তথ্য অবৈধভাবে সংগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই তাঁদের অজান্তে নানা তথ্য সংগ্রহ করছে ফেসবুকের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামের প্যারেন্ট কোম্পানি ফেসবুকের বিরুদ্ধে নতুন একটি ক্লাস অ্যাকশন মামলায় এ অভিযোগ আনা হয়েছে।


ফেসবুকের বিরুদ্ধে ওয়ালেনের করা মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ইনস্টাগ্রামে ফেস-ট্যাগিং টুল রয়েছে, যা মানুষকে শনাক্ত করতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এ জন্য বিশেষ ফেস টেমপ্লেট তৈরি করে ডেটাবেসে রাখে। ইনস্টাগ্রাম অবশ্য তাদের এই চর্চাটি ব্যবহারকারীর শর্তাবলির মধ্যে রেখেছে। তবে এ টুলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্য ব্যবহারকারীর পোস্টে বিভিন্ন মানুষের চেহারা অনুমতি ছাড়াই স্ক্যান করে রাখে। এ ক্ষেত্রে ওই ছবিতে থাকা ব্যক্তিরা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী না হলেও বা তাঁরা শর্তাবলিতে সম্মত না হলেও ইনস্টাগ্রাম তাঁদের চেহারা ডেটাবেসে রেখে দেয়।

ফেসবুকের এ চর্চাটি ইলিনয় রাজ্যের একটি আইন ভেঙেছে। ওই আইনে ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়া ফেস রিকগনিশন স্ক্যানের মতো মানুষের বায়োমেট্রিক তথ্য কোনো কোম্পানি সংগ্রহ করতে পারবে না।

ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুক যখন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের সুরক্ষিত বায়োমেট্রিক তথ্য ধারণ করে ফেলে, তখন তা ফেসবুকের সব পণ্যের ক্ষেত্রে ফেসিয়াল রিকগনিশন সক্ষমতা বাড়াতে ব্যবহার করে। এর মধ্যে ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশনও রয়েছে। এই বায়োমেট্রিক তথ্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিময় করতে থাকে। ফেসবুক এসব কাজ করার আগে কোনো নোটিশ দেয় না বা ব্যবহারকারীকে জানায় না। ইলিনয়ের আইন অনুযায়ী তাদের এটা করতে হবে।

বিজনেস ইনসাইডারকে ফেসবুকের মুখপাত্র স্টেফানি ওটওয়ে বলেন, ‘ফেসবুক অ্যাপ যেভাবে ফেসিয়াল রিকগনিশন ব্যবহার করে, ইনস্টাগ্রাম তা করে না। তাই ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলাটি ভিত্তিহীন। ইনস্টাগ্রাম ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে না।’

ফেসবুক বেশ কিছুদিন ধরেই ইলিনয়ের আইন অনুযায়ী মামলার মুখোমুখি হচ্ছে। গত মাসেই ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই ফেস ট্যাগিং টুল ফেসবুকে যুক্ত করায় মামলার সমঝোতার জন্য ৬৫ কোটি মার্কিন ডলার দিতে চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

নতুন ক্লাস অ্যাকশন মামলায় ১০ কোটি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। প্রতিটি ব্যবহারকারীর নিয়ম ভঙ্গের জন্য ১ হাজার থেকে ৫ হাজার ডলার দিতে হবে ফেসবুককে। যদি আদালত ফেসবুককে দায়ী সাব্যস্ত করেন, তবে ফেসবুককে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হবে।

About Author Sokol Khobor 'eNewspaper

when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries.

No comments:

Post a Comment

Start typing and press Enter to search